জামালপুরের মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল প্রস্তুত করার সময় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। স্থগিত করা হয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। জানা যায়, উপজেলার তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গতকাল বিকালে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চলছিল। এ সময় সভাপতি পদপ্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের মাঠে বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রায় দুই হাজার চেয়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মঞ্চ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। মাদারগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ (২২), বালিজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী (২২), যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম (৪০), ছাত্রদল নেতা শ্যামল মিয়াকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আবদুস সোবহান (৪১) নামে এক নেতা মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। শাহ মো. মজনু ফকির জানান, সম্মেলনের জন্য প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে অফিসে বসে ছিলাম। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মাঠে গিয়ে দেখি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, হুমায়ুন ও স্বপনসহ আরও কয়েকজন সম্মেলন মাঠে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করার জন্য স্কুল মাঠে গেলে মজনু ফকিরের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাক ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সাত নেতা-কর্মী আহত হন। মজনু ফকিরের লোকজনই প্যান্ডেল ভাঙচুর করে ও চেয়ারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাককে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মজনু ফকির উঠেপড়ে লেগেছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
- এক ঠিকানায় মিলবে সব ‘নাগরিক সেবা’
- এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
- দেশে শ্রমিক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত : রিজভী
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার