সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। আগের দিন কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সব কটি মূল্যসূচক। দরপতনের কারণে আতঙ্কিত শেয়ার বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভে তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেন।
শেয়ার সূচক কমে গেলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভে বাজার স্থিতিশীলতার জন্য কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। দিনের লেনদেন শেষে গতকাল সব খাত মিলে ডিএসইতে ১০২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪১টির। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স শনিবারের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সব কটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শনিবার লেনদেন হয় ২৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে সিটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনআরবি ব্যাংক। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে ২৩৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ টাকা। শনিবার লেনদেন হয় ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।