বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। দিনদিন নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। মব সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা দিনদিন খারাপের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। গণ অভ্যুত্থানের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে এ সরকারের প্রধান কাজ ছিল অন্তর্বর্তী যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালন করা। সেটা না করে সরকার অনেক কাজে হাত দিয়েছে। এসব কারণে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন, সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে। সরকারের উচিত এ বছরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এটা অনির্বাচিত সরকার। এ সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ছিল ভোট দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। কিন্তু তা করা হয়নি। আমরা শুধু দ্রত নির্বাচনই চাচ্ছি না, একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা করেই নির্বাচন চাই। গণহত্যারও বিচার দৃশ্যমান দেখতে চাই। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যে কাজগুলো হাতে নেওয়ার দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশি কাজ হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের মদতপুষ্ট একটি রাজনৈতিক দল যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে আন্দোলনের সমর্থন জোগায়। অন্যরা আন্দোলন করলে পুলিশ মারমুখী হয়। এটা দ্বিমুখী আচরণ। এই অনির্বাচিত সরকার বন্দর বিদেশিদের হাতে দিয়ে দিচ্ছে। রাখাইনের করিডর দেওয়ার কথা হচ্ছে। তারা কারও সঙ্গে আলাপ করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না। অথচ যদি নির্বাচিত সরকারও এখন ক্ষমতায় থাকত তাহলে তারাও সংসদে আলোচনা করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিত। কিন্তু এ সরকার তা করছে না।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যেমন নির্বাচন চাই, তেমনি গণহত্যাকাণ্ডের বিচার করা এবং ভালো একটি নির্বাচনের জন্য যে সংস্কারগুলো দরকার সেগুলোও চাই। এখন ভোট দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হবে। তিনি বলেন, ৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছিল। যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল তাদের কেউ কেউ আজকে নানাভাবে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।