তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্লাবনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাটে। এ ছাড়া রাজশাহী ও কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদনদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী : রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। ফলে ডুবে গেছে জেগে ওঠা চরগুলো। গতকাল দুপুর ১২টায় পদ্মার পানি ছিল ১৭ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। ফলে পানি এখন বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই।
লালমনিরহাট : তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বেলা ১২টায় হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৭ মিটার, যা বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। সড়কে চলাচলসহ নানাবিধ দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। নদীপাড়ের মানুষ ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। তিস্তার বাম তীরের লালমনিরহাটে তৃতীয় দফায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়া : দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগ। গতকাল সকাল ৯টায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পৌঁছে, যা বিপৎসীমার এক মিটার নিচে। পানি বাড়তে থাকায় নদীপারের নিম্নাঞ্চল ও চরের আবাদি জমি প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। প্লাবিত হওয়ায় ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম : পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ সব নদনদীর পানি বাড়ছে। গতকাল দুপুরে স্থানীয় পাউবো জানায়, তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে সবশেষ বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, গত সোমবার রাত থেকে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমর নদের পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থির রয়েছে। ধরলার সেতু পয়েন্ট, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ও দুধকুমর নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।