কথায় আছে 'কান্নায় নাকি কষ্ট দূরীভূত হয়।' এটি শুধু জনমানুষের কথা নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। বিভিন্ন গভেষণায় বলা হয়েছে, কাঁদার নাকি নানা রকম শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে।
শোকে-দুঃখে সবার চোখ দিয়ে নিজের অজান্তেই জল বেরিয়ে আসে। কিন্তু অনেকেই কান্না দমাতে বা লুকাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনটি করা মোটেও উচিত নয়। কারণ কান্নার অর্থাৎ চোখের জলের রয়েছে অন্তত তিনটি উপকারিতা। মানসিক চাপ দূর করা থেকে শুরু করে মানুষের মনোভাবে পরিবর্তন আনতেও এটা ভূমিকা রাখে। নিচে কান্নার নানা উপকারি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :
চাপ দূর করে : অশ্রুর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ বেরিয়ে যায়। এর ফলে মানসিক চাপ কমে আসে। গবেষকরা বলছেন, যদি কান্না আসে, তবে সেটা হতে দেওয়া উচিত। এতে মানসিক চাপ কমে।
সম্পর্ক জোরদার করে : এক গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার ফলে সামাজিক সম্পর্কগুলো আরও জোরদার হয়। বিশেষ করে সান্ত্বনা এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে যারা এগিয়ে আসে তাদের সঙ্গে। কেননা সব আবেগের মধ্যে কান্নাই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক এবং শক্তিশালী।
মনোভাব পরিবর্তনে : কান্নার পর মনে এবং শরীরে এক ধরনের প্রশান্তি চলে আসে। গবেষকরা জানান, চোখের জলের সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে মনে এক ধরনের পরিচ্ছন্ন ভাব তৈরি হয়, যার ফলেই ভালো লাগা তৈরি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২০ জুলাই ২০১৬/শরীফ