ব্রিটিশ সরকার 'ন্যাচারাল সাইকল' নামের একটি অ্যাপকে অনুমোদন দিয়েছে। এই অ্যাপটি নিরোধক ব্যবহার ছাড়াই নিরাপদে শারীরিক মিলনের সহায়ক হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রমশ। এখন ১৬১টি দেশের প্রায় দেড়লাখ নারী এই অ্যাপটি ব্যবহার করছে।
গর্ভনিরোধক তথা গর্ভধারণ নিরাপত্তা বিষয়ক এই অ্যাপটি সনাতন পদ্ধতির গর্ভনিরোধ পদ্ধতির চেয়ে ৯৯% বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটা একই সঙ্গে নারীর ডিম্বোস্ফোটন, গর্ভধারণ, ঋতুকাল এবং গর্ভধারণে উর্বরাশক্তি তথা সক্ষমতার নির্দেশক। এতে নেই হরমোনজাতীয়নারী ওষুধ প্রয়োগের ঝামেলা যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই অ্যাপের সেবা নিতে হলে কোনো নারীকে প্রতিদিন সকালে তার জিভের নিচের তাপমাত্রা নিয়ে মোবাইল ওই অ্যাপের মাধ্যমে তা প্রেরণ করতে হবে। তা বিশ্লেষণ করে জবাবে অ্যাপ জানাবে ওই দিন ওই নারী গর্ভ ধারণের পক্ষে কতটুকু উর্বরা।
যদি অ্যাপের নির্দেশক বারটি সবুজ দেখায় তবে তার অর্থ হবে সেদিনের জন্য ওই নারীর প্রজণন ক্ষমতা নাই বা খুব দুর্বল আর তাই গর্ভধারণের ঝুঁকি খুবই কম। কিন্তু যদি ওই বারটি লাল দেখায় তবে বুঝতে হবে প্রজণন ক্ষমতায় পরিপূর্ণ তিনি। তাই ওইদিন নিরোধক ব্যবস্থা না নিয়ে শারীরিক সম্বন্ধ ঝুঁকিমুক্ত হবে না।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই অ্যাপকে কতটুকু বিশ্বাস করা যায়? বিশ্বাস রাখার বড় কারণ হচ্ছে যে সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার একে অনুমোদন দিয়েছে। এতেও যদি আপনার মনে কিন্তু কিন্তু ভাব থেকে যায়, তবে শুনুন- হিগস-বোসন কণার সন্ধানদাতা ডা. এলিনা বের্গলুন্ড ও তার স্বামী ডা. রাউল শেরবিত্স এর উদ্যোক্তা। বোসন-হিগস কণার জন্য ২০১৩ সালে বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়াদের অন্যতম ছিলেন এই দম্পতি। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের দাবি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটির কার্যক্ষমতা ক্লিনিক্যালি পরীক্ষিত এবং ৯৯.৫% কার্যকর বলে প্রমাণিত। ৪.১ ক্ষমতার এবং তার ওপরের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ইন্সটল করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার