শরীরের দুর্গন্ধ রোধ করতে আমরা ডিওডোর্যান্ট ব্যবহার করি। কর্মস্থান হোক বা উত্সবের আঙিনা, ডেটিং হোক বা হাই প্রোফাইল কনফারেন্স, এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলেও এই ডিওডোর্যান্ট আমাদের অবশ্যই লাগবে। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে জায়গা করে নেওয়া এই অতি প্রয়োজনীয় বস্তুটি সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা জানি না। আজ দেখে নেওয়া যাক এই ডিওডোর্যান্ট সম্পর্কিত অজানা পাঁচটি তথ্য-
১। শরীরের দুর্গন্ধ ঢাকতে ডিওডোর্যান্টের ব্যবহার বহু পুরনো। ইতিহাস বলে, প্রাচীন মিশরে দারচিনি ও অন্যান্য মশলা ভেজানো জলে স্নান করার রীতি চালু ছিল। বাহুমূলে নানা রকম ভেষজ প্রয়োগ করেও দুর্গন্ধ চাপা দেওয়ার চল ছিল ফারাওয়ের রাজত্বে।
২। মানুষের ঘাম প্রায় গন্ধহীন। কিন্তু ত্বকে উপস্থিত্ ব্যাক্টেরিয়া ঘামের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ডিওডোর্যান্ট সেই সমস্ত ব্যাক্টেরিয়া বিনাশ করে দুর্গন্ধ রোধ করে। পাশাপাশি, অ্যান্টিপার্সপির্যান্ট ডিওডোর্যান্টের কাজ শরীরে ঘাম তৈরি হতে না দেওয়া। তবে ঘাম পুরোপুরি আটকে দেওয়ার ক্ষমতা কোনও প্রসাধনেরই নেই।
৩। প্রতি ৬ মাস অন্তর ডিওডোর্যান্টের ব্র্যান্ড বদলানো দরকার। একই ডিওডোর্যান্ট লাগাতার ব্যবহার করলে তা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া খতম করতে ব্যর্থ হয়। তার ফলে ডিও মাখলেও তা দুর্গন্ধ আটকাতে ব্যর্থ হয়।
৪। পুরুষ ও নারীর জন্য ভিন্ন ডিওডোর্যান্ট হয় না। গন্ধ পরিবর্তন করা গেলেও, মহিলা ও পুরুষের ডিওডোর্যান্টের রাসায়নিক গঠন ও কাজ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে ফারাক নেই। যে কোনও ডিওডোর্যান্টেরই কাজ ব্যাক্টেরিয়া হঠিয়ে শারীরিক দুর্গন্ধ দূর করা।
৫। ডিওডোর্যান্ট ব্যবহারের ফলে অনেকেরই পোশাকে হলুদ ছোপ ধরে। বিজ্ঞানীদের মতে, বেশির ভাগ ডিওডোর্যান্ট অ্যালুমিনিয়াম ভিত্তিক হওয়ার ফলে তা ত্বক ও ঘামের সংস্পর্শে এলে বিক্রিয়া হয়। অনেকের মতে, পোশাকে লেগে থাকা ঘাম ও অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে ডিটারজেন্টের বিক্রিয়ার ফলেও কাচার পরেও পোশাকে এই দাগ দেখা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৮