কার্বোহাইড্রেট , পটাশিয়াম , ক্যালশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম , লোহা প্রভৃতি সমৃদ্ধ কিশমিশ সত্যিই দারুণ উপকারী৷ এটি কিন্ত্ত আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো এই কিসমিস৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশে কিশমিশ কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারে-
১। কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যায়-
কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় কিশমিশে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে তন্তু থাকে৷ ফলে শিশুর কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা হয় না৷ ছোটবেলায়ও এই সমস্যা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কিশমিশ পানিটে ফুটিয়ে সেটাকে থেঁতো করে মিহি করে নিতে হয়৷ ফলে কিশমিশ নরম হয়ে যায় এবং তা বাচ্চারা সহজেই খেতে পারে৷
২। খনিজের প্রয়োজন মেটায়-
কিশমিশে প্রচুর খনিজ থাকে। এই খনিজ খুদের পুষ্টি এবং বৃদ্ধির জন্য তার খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি৷ সেক্ষেত্রে কিশমিশে পটাশিয়াম , ক্যালশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম , লোহা প্রচুর পরিমানে থাকায় শিশুর বিকাশ ঘটার ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় এটি৷ তাই সন্তানের ডায়েটে অন্তত একবার কিশমিশ রাখার চেষ্টা করুন৷
৩। জ্বরের ওষুধ-
বাচ্চাদের জ্বর লেগেই থাকে৷ সেক্ষেত্রে কথায় কথায় ঘাবড়ে গেলে চলবে না৷ বরং এক কাজ করুন, বাচ্চাকে কিশমিশ খাওয়ান৷ জ্বরে এটি ওষুধ হিসাবে কাজ করে৷ ফলে এটি খাওয়ানো যেতেই পারে৷ অসুস্থ শিশুটি এটি খেয়ে ফের আগের মতো দুষ্টুমি শুরু করবে৷ তাই বলে ওষুধ বন্ধ করে শুধু কিশমিশ খাওয়াবেন না৷
৪। হিমোগ্লোবিন বাড়ে-
শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিকমত বাড়ছে কিনা সেই খবর রাখা জরুরি৷ কিশমিশে যেহেতু প্রচুর মাত্রায় লৌহ থাকে তাই তাকে কিশমিশ খাওয়ান৷ এতে দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে সহজেই৷
৫। অ্যাসিডিটি কমায়-
বাচ্চাদেরও অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়৷ তবে সে তো আর যখন তখন অ্যাসিডিটির জন্য ওষুধ খেতে পারে না৷ সেক্ষেত্রে ওকে কিশমিশ খাওয়ান৷ এতে দেহে অ্যাসিডের পরিমানে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে৷ ফলে শিশুর অসুবিধা হবে না৷
৬। মস্তিষ্কের বিকাশে-
কিশমিশ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত করে৷ ফলে কোনও রকম ব্রেন ইঞ্জুরি সারার ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় এটি৷ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে৷
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২