সাধারণত গরম পড়তেই মশার উপদ্রবটা বেড়ে যায়। মশারি টাঙানোর অভ্যেস নেই। কয়েল, রেপেলেন্টে কাজের থেকে ক্ষতি বেশি। বিপদ থেকে বাঁচতে মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়ই ভরসা। খরচ কম। সহজসাধ্য। সাপও মরল, লাঠিও ভাঙল না।
মশার কামড় ও মশা মারার কয়েল দুইটাই মৃত্যুর হাতছানি। বাঁচার উপায় কী?
কয়েলের প্রাণঘাতী ধোঁয়া থেকে বাঁচতে উপায় মশা তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা। পরিষ্কার সাদা একটু ধুতির কাপড়ে একটু কার্পুর নিতে হবে। শক্ত করে বাঁধতে হবে। একটা ছড়ানো থালায় পানি নিয়ে ওই পুটলিটা ডুবিয়ে দিতে হবে। যাতে কার্পুর একটুখানি পানিতে ডুবে থাকে। ঘরের চার কোণে এমন চারটে থালা রেখে দিতে হবে। পাতলা সাদা ধুতির কাপড়ে একটু শুকনো নিমপাতা নিতে হবে। একটা শুকনো লঙ্কা মাঝখান থেকে ভেঙে নিতে হবে। খোসা ছাড়ানো ২-৩ কোয়া রসুন বেঁটে নিতে হবে। একসঙ্গে পুটুলি করে ঘরের চারকোণে চারটি পুটুলি ঝুলিয়ে দিতে হবে। মশা উধাও।
নিমপাতা ও নিশিন্দা পাতা একসঙ্গে শুকনো করে নিতে হবে। গুঁড়ো করতে হবে। সন্ধ্যায় ধুনো দেওয়ার সময় এই গুঁড়ো ধুনোর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। উধাও মশা।
বাড়ির আশপাশে খোলা নর্দমা বা জমা জলে গাপ্পি ও তেচোখা মাছ ছাড়তে হবে। মশার লার্ভা দিয়ে তারা দিব্যি ব্রেকফাস্ট সেরে নেবে। হাতের নাগালেই রয়েছে এই সব সামান্য জিনিস। আর তাতেই কেল্লা ফতে। মশার হুল থেকে যেমন রক্ষা, তেমনই কয়েলের বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। সূত্র: জিনিউজ টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার