অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ১৬ সারে স্ট্রিট মিন্টুর ক্যাম্পবেলটাউনে এ-বি স্ট্রিট লাইব্রেরির ১৭তম শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। যা শুধু একটি পাঠাগার নয়; বরং বই, শিল্প ও মানুষের সংযোগে নির্মিত এক মানবিক আন্দোলনের প্রতীক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এ-বি স্ট্রিট লাইব্রেরির সেক্রেটারি কাউন্সিলর আশিকুর রহমান এশ।
অতিথি ছিলেন মেয়র ডারসি লাউন্ড এর প্রতিনিধি ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ক্যারেন হান্ট, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, মাল ফ্রুয়ান এনএসডব্লিউ কাউন্সিল ফর প্যাসিফিক কমিউনিটিজের চেয়ারপারসন, আল-ফয়সাল কলেজ ক্যাম্পবেলটাউনের প্রধান সোনালি লুথরা, রেইনবো ক্রসিং ইনক-এর চেয়ারপারসন ব্রায়ান লাউল, সাউথ ওয়েস্ট ভয়েসের এরিক কন্টোস, হ্যান্ডস অন হার্টস ম্যাকার্থার এর মোয়ানা জে. স্ট্রিকল্যান্ড ও ডায়ানা মাইলাতা, স্কানডারি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিনা স্কানডারি, লেখক গ্লেন কসার, মি. পারফেক্ট এর লি নিহ্যাম, কমিউনিটির সম্মানিত প্রবীণ ‘আঙ্কেল ডেভিড’, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো. শফিকুল আলম, বাংলাদেশি অভিনেতা মিজানুর রহমান, জেসার আহমেদ জুয়েলসহ প্রমুখ।
ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ক্যারেন হান্ট শুরু থেকেই এই উদ্যোগের একজন বলিষ্ঠ সমর্থক। তাঁর সহযোগিতায় এ বি স্ট্রিট লাইব্রেরি রাস্তার পাশে ক্ষুদ্র পরিসর ছেড়ে এখন সিটি কাউন্সিলের পার্কগুলোতে স্থান পেয়েছে।
এ বি স্ট্রিট লাইব্রেরির সভাপতি কামাল পাশা বলেন, এই রঙিন বাক্সগুলো আল-ফয়সাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিজাইন করেছে —এগুলো শুধু বই রাখার জায়গা নয়, এগুলো একটি সেতু। যা পাঠক, লেখক, কমিউনিটি ও প্রতিবেশীদের যুক্ত করে। আমরা শুধু লাইব্রেরি খুলছি না, আমরা মন খুলছি।
আজ এ বি স্ট্রিট লাইব্রেরির মাধ্যমে ১৭টি লাইব্রেরি চালু হয়েছে, হাজার হাজার বই বিনিময় হয়েছে, এবং একটি মানবিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, গল্পভিত্তিক সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।
কমিউনিটির সহযোগিতা ও ভালোবাসায় গড়ে উঠা এই লাইব্রেরি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একটি বই শুধু জ্ঞানের দরজা নয়, এটি একটি সম্পর্ক, একটি সহানুভূতির গল্প।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ