অনেকে ত্বকে নিয়মিত ফেসওয়াশ করেন। ভুল হয় না ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও। কিন্তু ত্বকের জৌলুস নেই। এর অন্যতম কারণ হতে পারে ত্বকের ‘এক্সফ্লোয়েশন’।
‘এক্সফ্লোয়েশন’ কী?
আমাদের ত্বকের পুনর্জন্ম আছে। ত্বকের মৃত চামড়ার স্তর সরে আসে পুনর্জন্ম। তবে এই মৃত কোষ (চামড়া) দেহে মিশে থাকে। ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে এ থেকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের চিকিৎসকরা বলছেন, ত্বকের ওপর সেবাম, মৃত কোষ জমতে থাকলে তা প্রাণহীন, নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। ত্বকের মসৃণতা হারিয়ে যায়।
ত্বকের রন্ধ্রে সেবাম জমে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। এ কারণে নিয়ম করে ত্বক ঘষামাজা করা প্রয়োজন। যে পদ্ধতিতে এই ঘষামাজা করা হয় তাকে ‘এক্সফ্লোয়েশন’ বলে। সহজভাবে বললে, ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা ধুলোময়লার স্তর সরাতে ‘এক্সফ্লোয়েশন’ ব্যবহার করা হয়।
কেন করবেন ‘এক্সফ্লোয়েশন’?
আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের উপরিভাগে প্রায়শ মৃত কোষের স্তর জমা হয়। সাধারণত ২৭ দিন পরপর এই প্রক্রিয়া (ত্বকের পুনর্জন্ম) ঘটে। এটা ত্বকবিজ্ঞানের কথা। সেই সঙ্গে দূষণের কারণে ত্বকের ওপরে ধুলো-ময়লাও চেপে বসে। তাই তো ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে মৃত কোষের এই স্তর সরিয়ে ফেলা জরুরি। আর ঠিক এই কাজটাই করে ‘এক্সফোলিয়েশন’। মুখের ত্বক ধীরে ধীরে স্ক্রাব করলে মৃত কোষের স্তর তো সরে যাবেই, জমে থাকা ময়লাও পরিষ্কার হবে।
কত দিন পরপর?
সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে সপ্তাহে দু-একবার ফেস স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। এতে মৃত কোষ দূর হয়। এমনকি ত্বকের সতেজ ভাব ফুটে ওঠে। যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, লোমকূপ উন্মুক্ত করে। ত্বকের সব ধরনের সমস্যার ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’ হতে পারে এক্সফ্লোয়েশন।
উপকারিতা-
অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। ফলে ত্বকের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে যায়।
রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি করে।
ত্বকের প্রাকৃতিক জৌলুসতা উপচে পড়ে।
ব্ল্যাকহেডস-হোয়াইটহেডস পরিষ্কার হয়।
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে।
যেভাবে করবেন
সাধারণত স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েশন করা হয়। মুখ ক্লিনজিং করার পরে হাতে পরিমাণ মতো স্ক্রাব নিয়ে ত্বকে লাগান। এরপরে হাতের তালুর সামান্য চাপে ৩০ সেকেন্ড ধরে ফেস ম্যাসাজ করতে হবে। জোরে জোরে ঘষবেন না। এরপরে হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আর হ্যাঁ, মুখ ধুয়ে ফেলার পরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
লেখা : সাদিয়া সারা
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ