কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বেশি পূর্বশর্ত হল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তি। সেটা বর্তমানে দেশে আছে। কাজেই কৃষিক্ষেত্রে বাজারেরও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সোমবার দুপুরে গাজীপুরের জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমিতে (নাটা) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পিয়াজের মূল্য দ্বিতীয়বার বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতবছর যখন পিয়াজ তোলার সময় অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছিল। পিয়াজ খুবই পচনশীল একটা ফসল। এরফলে চাষীরা পিয়াজ ঘরে তুলতে পারে নি। যেই পরিমাণ পিয়াজ হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়নি। আমরা মনে করেছিলাম ভারত থেকে আমদানি করে আমরা আমাদের ঘাটতি মিটাবো। কিন্তু ভারত হঠাৎ করে তাদেরও ঘাটতি, তারা পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিল। ফলশ্রুতিতে এই ক্রাইসিসটা হচ্ছে এটা আমরা ওভারকাম করতে পারছি না। এই মৌসুমে পিয়াজ হয় মাত্র দুই লক্ষ টন। দাম বেশি থাকাতে কৃষকরা পিয়াজ বড় হওয়ার আগেই পাতাসহ বিক্রি করে দিয়েছে। যার জন্য দামটা কমছে না। বিদেশ থেকেও আমদানি করতে দেরি হচ্ছে, নানান কারণে আবার দাম বাড়ছে। আমাদের ২২ থেকে ২৪ লক্ষ টন পিয়াজ উৎপাদন হয়। পিয়াজের মূল যে মৌসুম তখন বেশিরভাগ উৎপাদন হয়। এসময় বিদেশ থেকেও পিয়াজ আসে। চাষী যাতে দাম পায় এরজন্য আমরা বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রাখব। এটার একটা ভালো ফল পাব বলে আমরা আশা করি।
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির (নাটা) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. আবু সাঈদ মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ”কৃষক-উদ্যোক্তা : বাণিজ্যিক কৃষির উদীয়মান চালক”-শীর্ষক সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো: আব্দুল মান্নান আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুইদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরেটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল।
মন্ত্রী বলেন, আমি কৃষি মার্কেটিং বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি, তড়িৎ গতিতে তথ্য কালেকশন করতে হবে, কি উৎপাদন হল, কি ঘাটতি হতে পারে। তার ভিত্তিতে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেন পরিকল্পনা নেয়, যে কতটুকু আমরা আমদানি করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার