করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ঘোষিত কিছু জেলা ও সিটি করপোরেশনের সুনির্দিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এসকল এলাকার জনসাধারণকে কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে ও ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আজ সোমবার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই দুর্যোগে বাংলাদেশে সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ টিম সরকারের নানান সীমাবদ্ধতা সত্বেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্বপালনের প্রশংসা করেছেন। তারা নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করার পাশাপাশি জণগনের সচেতনতার অভাবের কথাও বলেছেন।
ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সকলকে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এক সেকেন্ডের অবহেলা, হাত ধোয়ার ২০ সেকেন্ডের অলসতা-ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিএনপিকে ত্রাণ কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে দলটির মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন কোথায় কে বাধা দিচ্ছে তা স্পষ্ট করুন। তথ্য প্রমাণ দিন। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানবিক কাজে বাধা প্রদান আওয়ামী লীগের নীতি নয়।
সরকার জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আইসিইউসহ জরুরি সেবা সম্প্রসারণ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনে উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি এ সংকটকালে বেসরকারি উদ্যোগও যোগ করতে পারে নতুন মাত্রা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নমুনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ৬০ এর অধিক কেন্দ্রে টেস্ট করা হচ্ছে, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। এরই মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম সুরক্ষা সামগ্রীসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি করোনার লক্ষণ দেখা দিলে গোপন না করে নিকটস্থ কেন্দ্রে পরীক্ষা করার জন্য সকলকে আহবান জানান।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে স্থাপিত কোভিড হাসপাতালের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল হামিদের কাছে দুটি আইসিইউ-ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা