কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগকে অনৈতিক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এটি অর্থনৈতিকভাবে তেমন ফলদায়ক নয়। এই সুযোগ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে না। এটি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।
মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৈঠকে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি সর্বনিম্ন আয়কর সীমা আরও কিছুটা বাড়ানো যায় কিনা সেটা বিবেচনার প্রস্তাব করেন। তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে আসন্ন অর্থবছরের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্সসীমা ৫০ লাখের পরিবর্তে এক কোটি টাকার প্রস্তাব করে। তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।
বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে দীপু মনি বলেন, ‘বিএনপি নামক অপরাজনীতির দলকে নিয়ে কিছু বলতে রুচিতে বাধে। কিন্তু তাদের একজন সদস্য আপত্তিকর কিছু বক্তব্য রেখেছেন। শুধু বলতে চাই, বক্তব্যে কোরআন হাদিসের কথা বলবো, আর কোরআনের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীর পক্ষে সাফাই গাইবো, এ দুটো একসঙ্গে হয় না।’
এসময় তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নেওয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা খাতের বরাদ্দকৃত বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং অপচয় রোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে অনলাইন শিক্ষা সহজলভ্য করতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন