শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত ধীরে ধীরে করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত বৈশ্বিক উৎপাদন এবং শিল্পায়ন সম্মেলনের অংশ হিসেবে ‘নীতি নির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ: মন্দার মধ্য দিয়ে যাত্রা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প দেশের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে এখাতে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলেও চলতি বছরে জুলাই থেকে এটি আবার সচল হতে শুরু করেছে। চলতি বছরের ০১-২২ আগস্ট বাংলাদেশ দুই দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক আট শতাংশ বেশি।
করোনা উত্তরণে উৎপাদনশীল শিল্পখাতে ভ্যালু চেইনের উন্নয়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির ফলে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ও উৎপাদনশীল শিল্পখাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমএসএমই খাতের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প উৎপাদন চালু ও নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পখাত ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগামী ছয় মাসের পর থেকে বাংলাদেশ করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে ইউনিডো পরিচালিত সাম্প্রতিক সমীক্ষার সঙ্গে মন্ত্রী একমত পোষণ করেন।
উৎপাদনমুখী শিল্পখাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ শিল্প বিপ্লবের ফলে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহারের বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।
প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ দেশের কর্মবাজারে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগাতে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস এমার্জিং মার্কেটস এডিটর মি. জন কে. ডেফটারিয়স এর সঞ্চালনায় এ অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৌদি আরবের শিল্প ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী বান্দার বিন ইব্রাহীম আল-খোরায়েফ। এতে রাশিয়ার সলকোবো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মি. আরকাদি দোভোরোভিচ, ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সম্পদ ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী জেনারেল (অব.) লুহুত বিনসার পাণ্ডজায়ান এবং রুয়ান্ডার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সোরায়া হাকুজিয়েরেমি আলোচনায় অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল