১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:৪৬

'ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ব্র্যান্ডিং' আয়োজন করা যেতে পারে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'ইউএস চেম্বার অব কমার্সের  সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ব্র্যান্ডিং' আয়োজন করা যেতে পারে'

ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ব্র্যান্ডিং’ আয়োজন করা যেতে পারে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপেও ২০১৯-২০ অর্থবছরেও জিডিপি ৫.২৪% অর্জিত হয়। রপ্তানি আয় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির এই দেশে অবকাঠামো, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রভৃতি খাত তড়িৎ গতিতে বড় থেকে বড় আকার ধারণ করছে। বিনিয়োগের জন্য এসব খাত সম্ভাবনাময়।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর)  ইউএস চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত “বাংলাদেশ অগ্রসরমান : জ্বালানি উন্নয়ন ও সহযোগিতার ভবিষ্যত  শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়লগে “বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের জন্য ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  এসময় তিনি বলেন, শেভরন, এক্সিলেরেট এনার্জি, এক্সন মবিল, হেলিবাটন, জিই প্রভৃতি কোম্পানির উপস্থিতি থাকলেও ১৭০ মিলিয়ন মানুষের এই দেশে আরো আমেরিকান কোম্পানির কাজ করার সুযোগ রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নতুন প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আধুনিক ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষন,  গ্যাস অবকাঠামোর আধুনিকায়ন ইত্যাদি উপখাতে জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,  মডেল পিএসসি ২০১৯- এর আওতায় বাংলাদেশ অফসোর বিডিং রাউন্ড ঘোষণা করতে যাচ্ছে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে  আমেরিকান কোম্পানিসমূহকে স্বাগত জানানো হবে। পরিকল্পনানুসারে বিদ্যুৎ খাতের আধিনিকায়নে দ্রুত অর্থায়ন প্রয়োজন। বিদ্যুৎখাতে অর্থের যোগান দিতে সরকার ‘পাওয়ার বন্ড’ ইস্যু করতে যাচ্ছে। তিনি মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন,  জ্বালানি নিরাপত্তার কৌশলগত বন্ধুত্বের বন্ধন তৈরি করতে ইউএস চেম্বার অফ কমার্স কার্যকর অবদান রাখতে পারে। সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পারষ্পারিক যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
গ্লোবাল মার্কেটস বিষয়ক সহকারী সচিব ও মহাপরিচালক, বিদেশী বাণিজ্যিক পরিষেবা, মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ আয়ান স্টেফ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তেল ও এলএনজি নিয়ে আমেরিকান ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি ব্যবসায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। বিদ্যুৎও জ্বালানির বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের জন্য  ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। এসময় তিনি আগামী বছর ৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ইনভেস্টমেন্ট সামিট-এ অংশ গ্রহণ করার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার জ্বালানি সহযোগিতার কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
ইউএস চেম্বার অফ কমার্স-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশা বিসালের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর