মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত। তিনি ছাত্র হিসেবে যেমন অসম্ভব মেধাবী ছিলেন, একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও সামনের সারিতে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিজ্ঞানীদের যে অবদান, সেখানে ওয়াজেদ মিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর সে অবদান স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে দেশে আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের বরেণ্য এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় ওয়াজেদ মিয়া বিদেশে ছিলেন। তাকে দেখার জন্য তখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেখানে গিয়েছিলেন, সেজন্যই তারা দুই বোন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেই বিদেশ জীবনে ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অনেক কষ্ট করেছেন, দেশে আসতে পারেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনে জড়িতদের কেউ আইনের বাইরে যেতে পারবে না। কমিশন গঠন করে যারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে, বিচার করাও জাতির নৈতিক দাবি। আমরা সেই নৈতিক দায়িত্ব পালনে কখনও পিছপা হব না।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ