নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নেই। সেজন্য কাল এ কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হলেও আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না।’
আজ রবিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমন মন্তব্য করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এখনো নতুন কমিশন নিয়োগ নিয়ে চলছে সার্চ কমিটির বৈঠক। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নেই যে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন, তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এ সময়ে তো নির্বাচন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। প্রশাসন দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন এলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা