পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশে তীব্র নদী ভাঙন কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব এলাকায় নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। হাওড় অঞ্চলেও ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। এ কারণে সেখানকার কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার। এসময় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা পওর বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, ঢাকা পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী প্রমূখ।
এরপর তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়ার পদ্মার ডানতীর হতে নওপাড়া ও বামতীর হতে চরআত্রা রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এবং নওপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চরআত্রা ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী এনায়েত উল্যাহ, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল মুন্সী, আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. ফারহানা সম্পা, দিপু মুন্সী প্রমূখ।
বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
