২ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:২৯

দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্বমানে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্বমানে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বসবাস করায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের কারণে ক্যাম্প ও আশপাশে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফে আইওএম কর্তৃক নির্মাণাধীন ১০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে প্রথম ১২টি নবনির্মিত ক্লিনিকের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয়দের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ১০ লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া দেশের সর্ব দক্ষিণের এই অংশে মৌলিক অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলো আগে থেকেই জাতীয় গড়ের তুলনায় কম ছিল। এখানকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত হয়েছিল এবং বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্লিনিকগুলোর পুরনো ভবন ভেঙে আইওএম নতুন দুইতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছে। নবনির্মিত এই ভবনগুলো আগের চেয়ে আরো বড় ও পরিবেশগতভাবে টেকসই এবং এগুলোতে রয়েছে সৌরচালিত বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে বিশ্বমানের প্রক্রিয়ায় উন্নীত করতে একসঙ্গে কাজ করছে সরকার। এলক্ষ্যে সরকারের নানা পদক্ষেপগুলোর একটি হলো কক্সবাজারে উদ্বোধনকৃত নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক। কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সরকারের এই প্রচেষ্টায় আইওএমও অংশগ্রহণ করেছে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি বৃদ্ধি করেছে এবং কোভিড-১৯ টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন শুরু করে। সরকার এ পর্যন্ত দেশের ১২ বছর ঊর্ধ্ব বয়সী ৯৮ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকা দিয়েছে। টিকা প্রদানে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং এশিয়ার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে রয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন হাওলাদার, মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বশর মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ‘আইওএম’ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান আব্দুস সাত্তার এসওয়েভ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নতুনভাবে নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। 

অবশিষ্ট নির্মাণাধীন ক্লিনিকগুলো ও জেলা হাসপাতালের সংস্কার কাজ ২০২৩ সালে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নির্বিঘ্নভাবে নিশ্চিত করার জন্য আইওএম অস্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করেছিল।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর