পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আইডিইবি'র হল রুমে শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ, ২০৩০ সালে মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের বর্তমানকে উজাড় করে দিতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সুনাগরিক। শতভাগ শিক্ষার হার নিশ্চিত করতে সরকার ইতিমধ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য উপমন্ত্রী বলেন, তোমাদের সৌভাগ্য তোমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছো। যিনি সততায় সেরা, মেধায় সেরা, যোগ্যতায় সেরা, দক্ষতায় সেরা। সেরাদের সেরা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা। কারণ, তিনি একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। আগামী প্রজন্মের বিশ্বমানের উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে চলছেন।
শামীম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্যের সাথে শরীয়তপুরের মানুষের ভাগ্য জড়িত। ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত শরীয়তপুরে মাত্র সোয়া কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিল। আর তিনি ক্ষমতায় পর ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। এরপর আওয়ামী লীগ টানা ৩ বার ক্ষমতা আসায় শরীয়তপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই শরীয়তপুরের মানুষ সবসময় বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকার প্রশ্নে কখনো আপোস করে না।
শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে শরীয়তপুরে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমেও দূর্গম চরেও বিদ্যুায়তন হয়েছে। শরীয়তপুরে শেখ রাসেল সেনানিবাস হয়েছে। শরীয়তপুরে চার লেনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, রেললাইন হচ্ছে। শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন হয়েছে। শরীয়তপুরে সকল স্কুল এমপিওভুক্ত হয়েছে। চাদঁপুর-শরীয়তপুর মেঘনা নদীতেও মেঘনা সেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। শরীয়তপুরে এখন আর নদীভাঙন নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই শরীয়তপুর সবদিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনেও আপনাদের ভোটে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, প্রফেসর হেদায়েতুল ইসলাম, সাবেক সচিব আনিস উদ্দিন মিয়া, বিএম ইউসুফ আলী প্রমুখ।
এ সময় ৬০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তিপ্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত