বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘একটি বিষয় আপনাদের বলতে হবে- সেটা হচ্ছে রমজান মাস আসার আগে সবাই যেন হুমড়ি খেয়ে না পড়ে একসাথে কেনাকাটার জন্য। কারণ, পণ্য সরবরাহের একটি পর্যায়ক্রম থাকে। কেউ যদি মনে করেন একসাথে ক্রয় করে জমা রখাবেন, তাহলে একটি চাপ পড়ে যায়। আমাদের সব কিছু পর্যাপ্ত মজুদ আছে, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। শুধু একসাথে ক্রয় করার বিষয়টি পরিহার করতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকালে শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে সেবা প্রকল্প উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজার মনিটরিং সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের লোকজন নিয়ে বাজার মনিটরিং করবেন। তাদের কাজে সহযোগিতার জন্য কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের অনুমতি দেওয়া আছে এবং র্যাব-পুলিশও সহযোগিতা করবে। যেখানে কেউ খাদ্য দ্রব্য মজুদ করার চেষ্টা করবে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডলারের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম যে বেড়েছে সেটি একটি কারণ বটে। যেসব পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়, সেটি কিন্তু সারা পৃথিবীতে বেড়েছে। এই কথা বিবেচনা করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি পরিবার অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে তেল, চিনি, ডাল এবং রজমান মাস উপলক্ষে খেজুর ও ছোলা দিচ্ছেন সাশ্রয়ী দামে। আশা করছি, রমজান মাসের জন্য যা খাদ্য সামগ্রী দরকার, সেটা পুরোপুরি আমাদের হাতে আছে।’
এসময় মন্ত্রী কয়েকজন হতদরিদ্র নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং গাছের চারা রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ডা. আপসান শর্মী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ