ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
মঙ্গলবার এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি বলেন, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশ যদি ত্রিপুরা থেকে আনারস ও কাঁঠাল কেনা বন্ধ করে তাহলে তারা না খেয়ে মারা যাবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশ। তারা অন্য দেশকে সম্মান করতে জানে। আমাদের মনুষত্ব এখনও বিলুপ্ত হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যখন মুসলমানদের উপর হামলা হয়েছে, তখন মমতা কোথায় ছিলেন? তখন কেন তিনি এর প্রতিবাদ করেননি। জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠানোর আবেদন জানানোর আগে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন কর্নেল অলি আহমদ।
বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা হয়নি জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলবো, আপনি টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ভ্রমণ করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন এদেশে হিন্দুরা কতটা নিরাপদে আছে। ভিনদেশে বসে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার করতে তিনি তাকে বারণ করেন।
তিনি বলেন, মেহেরবানি করে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকুন। সু প্রতিবেশি হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ করুন। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। অন্য কারও ক্ষতি কামনা করি না।
বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ। এখানে সবাই নিরাপদ। যারা অপপ্রচার করে তারা বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না।