ভারতের শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশে ফেরত আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার বিকালে চান্দনা চৌরাস্তায় গণসংহতি আন্দোলন গাজীপুর কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’র দাবিতে গণসংলাপে এ মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি।
গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও রূপান্তর ঘটাতে হবে। যাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ সবক্ষেত্রে গণক্ষমতায়ন হয়, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। দরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সত্যিকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থারও প্রতিষ্ঠা। এখানে সকল ষড়যন্ত্র, উসকানি মোকাবেলা করে জনগণের ঐক্যের মধ্যদিয়ে এই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশে নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রশ্ন আছে, দুর্নীতি রোধের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখনো দেখা যাচ্ছে চাকরির নিয়োগে ঘুষ লেনদেন তদবির চলছে। আমাদের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। সবাই তো জানেন বদলি হতে গেলে যদি কাউকে দু’কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয় তাহলে সে কি আর সৎ থাকে। জনগণের নিজেদের সম্পদ ও টাকা বিদেশে যারা পাচার করে তাদেরকে ঠেকিয়ে দিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের বাইরে গণসংহতি আন্দোলনের আর কোনো স্বার্থ নাই। গণসংহতি আন্দোলন অধিকাংশ জনগণের পক্ষে লড়াই করছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা, সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকারসহ জনগণের সার্বিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছে। আমাদের সর্বস্তরের জনগণের যে আত্মত্যাগ, শিক্ষার্থীদের যে আত্মদান তাকে ধরেই বাংলাদেশকে গড়তে হবে। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা জনগণকে রক্ষা করতে ভূমিকা নিতে হবে। ভারতের আধিপত্য আগ্রাসন পুনরায় ফিরতে দেয়া হবে না।
গণসংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য দীপক রায়, গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক লুবনা ইয়াসমিন, কালিয়াকৈর উপজেলার আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম খোকন, গণসংহতি আন্দোলন আশুলিয়া থানা সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের টাঙ্গাইল জেলা আহ্বায়ক ফাতেমা রহমান বিথি, জেলার বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন, জেলার সদস্য সচিব লিটন হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত