দেশের ২৪ পৌরসভার মধ্যে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী ও পুঠিয়া উপজেলার সদর পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় তা চলছে ধীরগতিতে। ভোটাররা অভিজ্ঞ না হওয়াই ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে বলে দাবি প্রিজাইডিং অফিসারের।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই দুটি পৌরসভায় এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
সকাল থেকেই ভোট প্রদানের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে নারী ভোটারদরি ভিড় বেশি। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহীর এই দুই পৌরসভা এলাকায় এখন পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার। সেখানকার ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভা ৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ)। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোতে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে কাগজে-কলমে চারজন প্রার্থী থাকলেও তিনজন আছেন ভোটের মাঠে। নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবু শামা। বিএনপি’র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম অলিখিতভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দু’বারের সাবেক মেয়র মাজিদুর রহমানের সমর্থনে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মাজিদুরের জগ প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বর্তমান পৌর মেয়র নৌকার প্রার্থী আব্বাস আলীর প্রচার-প্রচারণাই ছিল বেশি। এছাড়া সংরক্ষিত ১০ জন মহিলা প্রার্থী ছাড়াও ৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।
এদিকে, রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় মোট ৯টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৩৩জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আল মামুন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে গোলাম আজম নয়ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও পুঠিয়া পৌরসভায় এবার কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপির সদস্য ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল ৯টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম জানান, দুই পৌরসভা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ ভোটকেন্দ্রে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
