বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, ‘চিকিৎসকদের কঠোর পরিশ্রম ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুদেশগুলোর অংশীদারত্বে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হারের পাশাপাশি পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমে এসেছে।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেন।
এ সময় চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চমেক) অধ্যক্ষ সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল গণি ও শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা বানু উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে বেশ উন্নতি লাভ করেছে। স্বাস্থ্যখাতে এ উন্নতির পেছনে বাংলাদেশী চিকিৎসাকর্মীদের পরিশ্রমের পাশাপাশি আমেরিকার অংশীদারিত্বের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেখেছি বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এটা কোনো মিরাকল নয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটা অর্জন করতে হয়েছে। এভাবে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান তাহমিনা বানুর প্রশংসা করে ড্যান মজীনা বলেন, ‘তিনি চ্যাম্পিয়নের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে বিশ্বমানের অস্ত্রোপচার হচ্ছে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এই বিভাগ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভালো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তারা। তাছাড়া আমেরিকার নৌবাহিনীর মেডিকেল জাহাজের সঙ্গেও কাজ করেছেন এখানকার চিকিৎসকরা। এতে চিকিৎসকদের সঙ্গে জ্ঞানের যথেষ্ট আদান প্রদান হচ্ছে।’