কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে ২৩ জুন সংঘটিত খুনসহ ডাকাতি ঘটনার মূলহোতা ও তার অন্যতম সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১ রাউন্ড তাজা এ্যমুনেশন ও ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫ এর সহকারি পরিচালক আ. ম ফারুক বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, ২৩ জুন রাতে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়ায় মৃত নুরুল আমিন ও হাসান আলীদের বাড়িতে একটি সশস্ত্র সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। কুখ্যাত ডাকাত আহমদ শরিফের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত মৃত নুরুল আমিন ও হাছান আলীর বাড়িতে মুখে মাস্কপড়ে অবৈধ বন্দুক, ধারালো দা, চাকু ও শাবল নিয়ে রাত ৮ টার দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জোরপ‚র্বক প্রবেশ করে। ডাকাতরা ঘরের মহিলা ও অন্যান্য সদস্যদের হাত-পা বেধেঁ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুন্ঠিত মালামালসহ বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম নুরুল আমিন ও তার ভাই হাছান আলী ডাকাতদের মুখোমুখি হন।
ডাকাতরা তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করলে পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে এবং ভিকটিম নুরুল আমিন ডাকাত শরিফকে চিনতে পারায় সে নুরুল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বগলের নিচে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে নুরুল আমিন গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডাকাতরা লুন্ঠিত মালামাল, ৯৫ হাজার টাকা, ৩ জোড়া কানের দুল, ২টি নাকফুল ও ১টি স্মার্ট ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে তৎক্ষনাৎ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নুরুল আমিন মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় ডাকাত শরিফ ভিকটিমের স্ত্রীকে কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে প্রায়শই বিরক্ত করত। তাই ডাকাতির সময় ভিকটিম নুরুল আমিনের স্ত্রী ও অন্যান্য সাক্ষীগণ সৌর-বিদ্যুতের স্বল্প আলো ও ডাকাতদের কথাবার্তায় ডাকাত শরিফকে সনাক্ত করে। ভিকটিম নুরুল আমিনের স্ত্রী পরবর্তীতে উখিয়া থানায় আহমদ শরিফকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৩৯৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর থেকে গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে বুধবার রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় প্রধান আসামী আহমদ শরিফের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আহমদ শরিফ প্রকাশ শরিফ্যা ডাকাত ও তার অন্যতম সহযোগী ডাকাত রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১ রাউন্ড তাজা এ্যমুনেশন ও ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তাদের দুজনের বাড়ি উপজেলার জালিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নে।
বিডি প্রতিদিন/এএম