লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ হামলায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় থানার জানালার গ্লাস, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও পুলিশের একটি গাড়িসহ সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার মমিনপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন ও মির্জারকোর্ট এলাকার সামছুল হকের ছেলে সোহেল রানাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তদের থানায় আনা হলে মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পাটগ্রাম থানায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, দরজা-জানালা ভাঙচুর ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয়।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, পাথর-বালু মহালের ইজারাদার মাহমুদ হোসেন দাবি করেন, পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ও পুলিশের নির্যাতনে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার। পরিদর্শন শেষে ডিআইজি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের থানা হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে ট্রাক প্রতি চাঁদা আদায় করছিল একটি চক্র। নিয়মবহির্ভূত এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তাই দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ