প্রায় ডজনখানেক ইস্যু নিয়ে আজ রবিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সাড়ে ৭টায় এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। বাণিজ্য মন্ত্রনালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে সামনে রেখে আজ ঢাকায় দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুই দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য এবং ভারতের পক্ষে দেশটির বাণিজ্য সচিব রাজীব খেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন। বৈঠকে অন্তত একডজন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের ইস্যুগুলো হচ্ছে: বিএসটিআইর মান নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট ভারতের গ্রহণ করা, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে আরোপিত সিভিডি প্রত্যাহার, পাটের ব্যাগ রপ্তানি সমস্যা দূর করা, ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে অস্থায়ী বাধা দূর করা, স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। ভারতের ইস্যুগুলো হচ্ছে : বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ২২৫টি পণ্যের তালিকা প্রত্যাহার, বাংলাদেশে ভারতীয় কমলা জাতীয় ফলের আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার, ভারতীয় দুগ্ধজাতীয় পণ্যের বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ইত্যাদি। এ ছাড়া দুপক্ষের আগ্রহে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, নতুন সীমান্ত হাট স্থাপন ও নতুন আন্তর্জাতিক পাট গ্রুপ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা হবে দুদেশের মধ্যে। সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দুদেশের স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এখনো আইসিটি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) নির্মাণ করেনি ভারত। এটি দ্রুত করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হবে।
রামগড় ও তেগামুখ স্থলবন্দর কার্যকর করতে ফেনী নদীতে ব্রিজ করার জন্য ভারতকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আগেই। ভারতও ওই ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। এবারের আলোচনায় এই ইস্যুতে ভারতের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া বিএসটিআই সমস্যা, ভারতে পাটের ব্যাগ রপ্তানি জটিলতা ও তৈরি পোশাকে সিভিডি আরোপের ইস্যুগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এসব ইস্যুতেও ভারতের কাছে সমাধান চাওয়া হবে বলে জানা গেছে। ভারতের ইস্যুর ব্যাপারে কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ২২৫টি পণ্যের তালিকা প্রত্যাহারের ব্যাপার ভারতের দাবি রয়েছে। ফল ও দুগ্ধজাতীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও তারা শুল্ক সুবিধা চাইছে। উল্লেখ্য, স্পর্শকাতর ২২৫টি পণ্য থেকে এরই মধ্যে বেশকিছু পণ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকিগুলোর ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ মে ২০১৫/ এস আহমেদ