সংসদ সদস্য পদ হারাতে যাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য স্পিকারকে দেওয়া চিঠির অনুরূপ ব্যাখ্যা নির্বাচন কমিশন (ইসি) পেয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও হারিয়েছেন লতিল সিদ্দিকী।
মো. জাবেদ আলী বলেন, 'লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। কমিশন থেকে আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার উভয় পক্ষের জবাব দেওয়ার শেষ দিন। তিনি জানান, তাদের বক্তব্য পাওয়ার পর দুই পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকা হবে। এরপর সংবিধানের ৬৬ ও ৭০ ধারা অথবা সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি, আদালতের রায় ও নির্দেশনা দেখে যথাযথ এবং গ্রহণযোগ্য রায় দেওয়ার আশা রাখি। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার আর কোনো সুযোগ নেই।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'জনগণ লতিফ সিদ্দিকীকে একটি দলের মার্কায় ভোট দিয়েছেন। দল যখন তাকে বহিষ্কার করে, তখন কীভাবে তিনি সংসদ সদস্য থাকেন? কোনোভাবেই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকার ব্যবস্থা নেই।'
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে তার নামে একাধিক মামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভারত হয়ে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরেন সাবেক এই মন্ত্রী। পরে ২৫ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত। প্রায় ছয় মাস পর গত ২৯ জুন জামিনে মুক্তি পান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১ আগস্ট ২০১৫/শরীফ