কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও এলসিটি কতুবদিয়া ডুবোচরে আটকা পড়েছে। ওই দুই জাহাজে প্রায় দেড় হাজার পযর্টক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ ফেরার পথে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগরে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় আটকা পড়ে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক আজিজুর রহমান বলেন, 'ওই রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় জোয়ারের পানি কমে যাওয়ায় জাহাজটি আটকা পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া মিয়ানমারের সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। জোয়ার এলে জাহাজটি পুনরায় টেকনাফের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।'
এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজের ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ জানান, এ নৌপথে একাধিক ডুবোচর জেগে উঠায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সাত জাহাজে পযর্টক পারাপার করতে হচ্ছে। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজ দুটি আটকা পড়ে।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে জাহাজগুলো পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। পরে বিকাল ৩টার দিকে পুনরায় টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কিছু পরে বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে আটকে পড়ে।
দমদমিয়া ঘাট জেটির ইজারাদারের টোল আদায়কারী বলেন, 'সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কুতুবদিয়া, বে ক্রুজ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের করে প্রায় আড়াই হাজারের মতো পযর্টক টোল আদায় করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও বে ক্রুজ ফেরত আসলেও এখনও দুটি জাহাজ ডুবোচরে আটকে রয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় বঙ্গোপসাগরে জাহাজ দুইটি আটকা রয়েছে।'
টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, 'জাহাজ দুটি আটকা পড়ার খবর শুনেছি। জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে পড়া পযর্টকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব