'রাজধানীর গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত জঙ্গিদের শনাক্ত করেছেন তাদের অভিভাবকেরা। তারা জঙ্গি বলেই তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।' আজ বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে জিম্মি উদ্ধার অভিযান শুরু হয়ে ১৩ মিনেটের মধ্যে সন্ত্রাসীদের পরাভূত করা হয়। অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত এবং ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত লোকজনের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও তিনজন বাংলাদেশি। বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের ও একজন ভারতের নাগরিক। অপর ছয়টি লাশ সন্ত্রাসীদের বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়। তাদের অভিভাবকেরা তাদের শনাক্ত করেছেন। তারা জঙ্গি বলেই তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিহত সন্ত্রাসীরা সবাই বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলার মতোই এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করি।এছাড়া অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে চারটি পিস্তল, তিনটি এ কে টুয়েন্টি টু রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।'
তবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গুলশানের জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েলের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ব্রিকুষ্টিয়া গ্রামে। তিনি ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৫ সালে আলিম (এইচএসসি সমমান) পাস করে ফাজিল শ্রেণিতে ভর্তি হন। রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মীর সামেহ মোবাশ্বের স্কলাসটিকা থেকে ও লেভেল পাস করা, নিবরাস ইসলাম মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বলের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি গ্রামে।
বিডি প্রতিদিন/৫ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০৩