আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটিতে নাম দেয়ার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এই কমিটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো নাম প্রস্তাব করা হয়নি।'
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সকল পরিববহনে একই কার্ড (র্যাপিড পাস) ব্যবহারের লক্ষ্যে ই-টিকেটিং চালু করার জন্য ক্লিয়ারিং হাউজ ব্যাংক স্থাপনে ডিটিসিএ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাকে কাকে তিনি (রাষ্ট্রপতি) মনোনয়ন দেবেন সেটা তো একান্তই মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। আমরা কোনো নাম দিচ্ছি না এবং আমরা এটাও প্রত্যাশা করছি না যে, আমাদের দলীয় কোনো ব্যক্তি এই সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।’
‘বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কারফিউ গণতন্ত্রের প্রবক্তা।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যন সায়েম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পে জাইকার কারিগরি সহায়তার প্রায় ২৫ কোটি টাকা এবং সরকারের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০১৪ থেকে জুন ২০১৮ এর মধ্যে।
ডিটিসিএ‘এর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন মজুমদার এবং ডাচ বাংলার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরিন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এই কার্যক্রম চালু হলে র্যাপিড পাস ব্যবহারকারীদের নগদ অর্থে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে না। পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও নগদ অর্থ বহনের ঝামেলামুক্ত থাকবে। এমআরটি, বিআরটি, বিআরটিসি, রেলওয়ে, বিআইডব্লিউটিসি ও পাবলিক বাসে এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম