জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সূত্রে জানা যায়, আদালতে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আনইজীবীরা অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ধার্য তারিখ পর্যন্ত বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় তার আইনজীবীরা স্থায়ী জামিন আবেদন করেন।
জামিন আবেদনের সময় খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, খালেদা জিয়া এদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি পালিয়ে যাওয়ার মতো নেত্রী নন। তিনি কখনো আদালতের মিস ইউজ করেননি। আদালতের প্রতি আমাদের আবেদন, সব বিষয় বিবেচনা করে আদালত যেন মামলার জামিন স্থায়ী করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ধার্য তারিখ পর্যন্ত বহাল রাখার আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আনইজীবীরা। তাদের দাবি, খালেদা জিয়া আদালতের আদেশের মিস ইউজ করেছেন।
এই আদালতেই আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করা এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু'বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার