বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষ্যে আজ দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, একই উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য উদ্যানের ভেতরে স্বাধীনতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে সুবিশাল মঞ্চ, ভিআইপিদের বসার জন্য সুসজ্জিত চেয়ার ও সাধারণ জনগণের জন্য লেকের পাশে খোলা মাঠে প্লাস্টিকের শিট বিছিয়ে বসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মূলমঞ্চ ও মাঠে বিশাল বিশাল সাউন্ড সিস্টেম, সুবিশাল ডিসপ্লে বোর্ড, উদ্যান জুড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতির তোরণ, রঙ্গিন লাইটিং, সুপেয় খাবার পানি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট নির্মাণসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টায় আনন্দ সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশব্যাপী এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাজধানীতে দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠন ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভার, পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়া, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত বাদক দল, সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি এবং সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে সমবেত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব