দেশের অভ্যন্তরে স্বর্ণের চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন। চাহিদার ১০ শতাংশ পুরোনো স্বর্ণ (তেজাবি) থেকে পূরণ হয়। টিআইবির আশঙ্কা, প্রতি বছর নতুন স্বর্ণের চাহিদার প্রায় ১৮ থেকে ৩৬ টনের সিংহভাগই পূরণ হয় চোরাচালানির মাধ্যমে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে 'বাংলাদেশের স্বর্ণ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'এই খাতে সরকারের কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। স্বর্ণের বাজার ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। চোরাচালান নির্ভর ব্যবসা। এ খাতে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশ স্থলবন্দর, বিমান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ, ব্যবসায়ী চোরকারবারিদের যোগসাজশে এই অনিয়ম অব্যাহত আছে।'
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাংলাদেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা আছে ২০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। যার ১০ শতাংশ পুরোনো ব্যবহৃত সোনা দিয়ে পূরণ হয়। আর সিংহভাগ সোনার জোগানই আসে চোরাচালানের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, স্বর্ণের মান এবং দাম নির্ধারণেও সরকারের ভূমিকা না থাকায় প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। এসময় ডিসেম্বরের মধ্যে স্বর্ণ নীতিমালা করার সরকারি ঘোষণার বাস্তবায়ন দাবি করে টিআইবি।
বিডি প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত