পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেওয়া হবে আজ। রবিবার আংশিক রায় দেয়া হয়েছে। সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায় পড়া শেষ হবে।
২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। পিলখানার বাইরেও দেশের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ানে ছড়িয়ে পড়ে এ বিদ্রোহ। সেসব ঘটনায় বিডিআর আইনে মোট ৫৭টি বিদ্রোহের মামলা হয়।
রাঙামাটির ১২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন রাজনগরের ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রথম বিচার শুরু হয় বিদ্রোহ মামলার। ২০১০ সালের ২রা মে এই মামলার রায়ে প্রত্যেক আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এছাড়া, বিদ্রোহের মামলার প্রথম রায় হয় পঞ্চগড়ের ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহের ঘটনায়।
এর প্রায় তিন বছর পর ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর পিলখানার সদর ব্যাটালিয়নের রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের বিচার শেষ হয়। পিলখানায় মোট ১১টি ইউনিটের মামলায় ৪ হাজার ৩৩ জন সাজা পান, খালাস পান ৫৬ জন।
সবগুলো মামলার বিচার কাজ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর, সর্বোচ্চ সাত বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান ৫ হাজার ৯২৬ জন।
পিলখানার বাইরে বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটে এক হাজার ৯৫২ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিচারে সাজা পান ১ হাজার ৮৯৩ জন, খালাস পান ৫৯ জন। খালাসপ্রাপ্তরা প্রত্যেকেই চাকরি ফিরে পান। তবে বিডিআরে নয়, নাম বদল হয়ে যাওয়া বিজিবিতে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন