ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়েছেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফেরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সভা শেষে তিনি বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী। এই আইনের ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে। এই আইন বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে আজকে সোমবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি বিবিসি।
রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব আইনি চেম্বারে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়ারব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার পক্ষে ব্যারিষ্টার ওমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের পক্ষে শহিদুল্লাহ কায়সার, ডা. জাহিদুর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, আওম শফিকউল্লাহ, মোস্তাক হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
অসুস্থতার কারণে নাগরিক ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি বলে জানানো হয়।
আজকে সোমবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি বিবিসি। টেলিফোনে ইন্টারভিউ নিয়েছে। হয়তো আমার বক্তব্য ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধান পরিপন্থী। সভ্য সমাজে এমন একটি আইন হতে পারে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। এই আইনের মাধ্যমে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। তাই এই আইন বাতিল করতে হবে।
তিনি আরো জানান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সভায় ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকালে লিয়াজো কমিটির সভায় বসে এসব কর্মসূচি চ’ড়ান্ত করা হবে। আজকের লিয়াঁজো কমিটির সভায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হবে। এতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার বাইরে রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহে ও চাঁদপুর জেলায় পৃথক জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএনপির নেতারা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কি না- তা লিয়াঁজো কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান