নৌ-বাণিজ্যে বাংলাদেশের জাহাজ ব্যবসায়ী ও মালিকদের উৎসাহিত করতে নতুন ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন ২০১৯’ বিলটি প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।
নতুন আইনে নৌ-বাণিজ্যের জন্য নতুন নতুন জাহাজ ক্রয়, সংগ্রহ বা জাহাজ ব্যবসা পরিচালনায় নতুন আইনে সমুদ্রপথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন করার বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার সংসদ ভবনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
এসময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রণজিৎ কুমার রায়, এম আব্দুল লতিফ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন- ২০১৯’ বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক আমলে জারিকৃত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় নতুন অধ্যাদেশ বলে আইনটি কার্যকর রাখা হয়। আইনটি যুগোপযোগী ও বাংলায় রূপান্তর করে নতুন আইন হিসেবে বিল আকারে সংসদে তোলা হয়। নতুন আইনে সমুদ্রপথে পরিবাহিত বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন করার বিধান রাখা হয়েছে। ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে সমুদ্রপথে বর্হিবাণিজ্যের ৪০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধান ছিল। এছাড়া নতুন আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা)আইন ২০১৯ বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে সুপারিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিটি। এছাড়া বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের সম্ভাব্য বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়লের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন