তাজিকিস্তানে 'অবৈধ অনুপ্রবেশ' এবং 'অন্যায়ভাবে অবস্থানের' অভিযোগে ৫ বছরের জেল হয়েছিল সাত বাংলাদেশির। তবে দীর্ঘ সময়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবং তাজিক প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমায় অবেশেষে ৩ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন তারা।
মুক্ত বাংলাদেশিদের ৫ জনের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটে। বাকি দু'জননের মধ্যে একজনের চাঁদপুরের এবং অন্যজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা।
জানা গেছে, তাজিক প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমার পরও মুক্তি আটকে ছিল নানা অজুহাতে। কিন্তু তাজিকিস্তান দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গৌসুল আজম সরকার (অনাবাসী দূত হিসেবে) দুশানবেতে প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমনের কাছে পরিচয়পত্র প্রদানের দিন (গত ২০ নভেম্বর) ওই বন্দিদের কারাগার থেকে মুক্তি মিলে। অবশ্য এজন্য সকাল থেকে বিকাল অবদি দূতাবাস প্রতিনিধিদের দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরাসরি কারাগার কার্যালয়ে যেতে হয়েছে নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে। তাদের কারামুক্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় সেদিনই।
পরবর্তীতের ভিকটিমের পরিবারগুলোর সঙ্গে দূতাবাস কর্মকর্তাদের যোগাযোগ এবং পরিবারগুলোর টিকেট অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকদের ধারণা ওই ৭ বাংলাদেশি ইউরোপে যাওয়ার জন্যে হয়ত তাজিকিস্তান সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন। তবে তাদের আর কোন অপরাধ রেকর্ডে ছিল না। ওই বাংলাদেশিরা কোন দেশে যাওয়ার জন্য রুটটি ব্যবহার করেছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও দাবি দূতাবাস কর্মকর্তাদের। সূত্র: মানবজমিন
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব