সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্রতি সাধারণ মানুষ যাতে আস্থা স্থাপন করতে পারে তার জন্য এ প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল আজ মঙ্গলবার তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ রাষ্ট্রপতির নিকট হস্তান্তর করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সামগ্রিক কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং একই সঙ্গে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সাক্ষাত শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলটি রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিকসহ কমিশনের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি আরও জানান, পিএসসির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষায় বিশেষভাবে-সক্ষম পরীক্ষার্থীদের লিখতে সহায়তা করার জন্য রোভার স্কাউটদের প্রশিক্ষণের আয়োজনের কথা অবহিত করেন। সকল মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদফতর ও বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী ক্যাটাগরির কর্মচারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সরকারের নির্দেশনার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় আইনী কাঠামো, অবকাঠামো ও জনশক্তিসহ একটি প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক রাষ্ট্রপতিকে জানান, ‘২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পিএসসির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩১ হাজার ৪৩৭ ক্যাডার ও ৩৬ হাজার ৩৪ নন- ক্যাডারসহ মোট ৬৭ হাজার ৪৭১ জন প্রার্থীর চাকরি জন্য সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম