মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে লকডাউনে প্রায় ২০ হাজার হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নোয়াখালী-৩ আসনে (বেগমগঞ্জ) পাঁচবার নির্বাচিত এমপি বরকত উল্লাহ বুলু। বেগমগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে তিনি একাধিকবার দরিদ্র শ্রেণীর মাঝে ত্রাণ বিরতণ করেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে লকডাউনের আগেই তিনি স্বপরিবারে নিজ এলাকায় চলে যান।
দুস্থদের মাঝে দেওয়া তার ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। কোনো কোনো ওয়ার্ডে তার পক্ষ থেকে তিন থেকে চারবারও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এবার সেমাই, চিনিসহ ঈদ সামগ্রী পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী। শুধু তিনি একাই নন, ওই আসনে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের থানা, পৌর ও ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের ইউনিটগুলোও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশে করোরা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর গত ৩১ মার্চ থেকে আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা একাধিকবার করে দরিদ্র শ্রেণীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। শুধু আমি একাই নই, বেগমগঞ্জের অঙ্গ সংগঠনগুলোও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় প্রায় একযুগ ধরে আমরা বিরোধী দলে থেকেও মোটামুটিভাবে গরীব ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, সরকারি ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া তারা দলীয় বিবেচনায় বেশি মনোযোগী। এতে প্রকৃত অর্থে দরিদ্ররা ত্রাণ বঞ্চিত হয়। চলমান করোনা ইস্যুতে তিনি বলেন, সরকার শুরু থেকেই ভুল পথে হাঁটছে। চীনে যখন করোনা শুরু হয়, সারা বিশ্ব প্রস্তুতি নিলেও আমাদের সরকার আগাম কোনো প্রস্তুতি সরকার নেয়নি। এমনকি জাতির এই চরম দুর্যোগে জাতীয় ঐক্যের বিরোধীতায় সরকার। তারা একলা পথে হাঁটছে।
এ ইস্যুতে জাতীয় পর্যায়ে যে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতেও সরকারের যারা তোষামোদে ব্যস্ত থাকে তাদেরকে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যারা মাঠের বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। অনেক দক্ষ যোগ্য ও অভিজ্ঞ চিকিৎসককে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন