একের পর এক দেশ সীমান্ত বন্ধ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করছে। পুরো বিশ্বে কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চলাচল ব্যবস্থা। অধিকাংশ দেশে বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। যাত্রী না থাকায় অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এয়ারলাইনসগুলো। এতে করে অচল হয়ে পড়েছে বৈশ্বিক ভ্রমণ ও পর্যটন খাত। বাংলাদেশেও স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটন খাত। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন এ খাতের সাথে জড়িত ১৪ লাখ মানুষ। এতে সামষ্টিকভাবে ক্ষতি দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা।
ধীর ধীরে শিথিল হতে শুরু করেছে সাধারণ ছুটির বিধি নিষেধ। ঝুঁকি মাথায় নিয়েও যখন প্রাণ ফিরে পাবার চেষ্টায় অর্থনীতি তখনও স্থবির হয়ে আছে পর্যটন খাত। খাত সংশ্লিষ্টতের হিসাবে, জিডিপিতে এর অবদান প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রায় বিশ লাখ মানুষ। আর সব মিলিয়ে নির্ভরশীলের সংখ্যা আড়াই কোটির মতো। প্রান্তিক পর্যায়ে এখাতের সাথে জড়িত ট্যুর গাইডরা পুরোপুরি দিশেহারা।
দেশে বিদেশে পর্যটন ব্যবস্থাপনার কাজকর্ম করে থামে ট্যুর এজেন্সিগুলো। যার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পর গেলো দুই মাসে বাতিল হয়েছে, অগ্রিম সব বুকিং। যা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই পুরোপুরি। ইউনিয়ন ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, গত দুই মাসে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি প্রায় দেড় কোটি টাকা।
ট্যুরিজম বোর্ডের পরিসংখ্যান বলছে, এই খাতে চাকরি হারোনো আশঙ্কায় আছে ১৪ লাখ মানুষ। আর টোয়াবের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কর্মী ছাটাই হতে পারে ৫ হাজারের বেশি। আটাবের প্রেসিডেন্টের দাবি, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামষ্টিকভাবে ক্ষতি দাঁড়াবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
এ খাতের বড় অংশ হোটেল ব্যবসা। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২ হাজার কর্মী। অধিকাংশ হোটেল মার্চ ও এপ্রিলে বেতন দেয়নি কর্মীদের। আর বেতন ছাড়াই কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেল। এমন অবস্থায়, খাতটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে প্রণোদনা প্যাকেজের সুনির্দিষ্ট পরমিান অর্থ বরাদ্দের আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক