ঝিনাইদহ পৌরসভা ও দুই ইউপির বিষয়ে হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী সচিব মো. মহিউদ্দীন শামীমের স্বাক্ষরিত একাধিক চিঠি একই বিভাগের উপসচিব (পৌর-১), উপসচিব (ইউপি-১) বরাবরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিব, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসককেও। সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চে এই ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা ও সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে পৌরসভার মেয়র ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদও শূন্য ঘোষণা করা হয় রায়ে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভায় গত ২০১১ সালের মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌরসভা মেয়রের সম্মতিতে সুরাট ইউনিয়নের লাউদিয়া, পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর, কোড়াপাড়া মৌজাকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল এলাকা সম্প্রসারণের খসড়া গেজেট প্রকাশ করে। কোনো আপত্তি না পড়ায় ২২ জুলাই দ্বিতীয়বারও গেজেট প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, দ্বিতীয় গেজেট প্রকাশের পর পাগলাকানাই ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নজরুল ইসলাম এবং সুরাটের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ারদার ও দুটি হাই কোর্টে দুটি রিট আবেদন করেন। হাই কোর্ট দুটি রিটের শুনানি নিয়ে কোন স্থগিতাদেশ না দিয়ে শুধু রুল জারি করেন। তিনি আরও বলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হলেও তা আর রুল শুনানি হয়নি। পরে চলতি বছর আমি এই রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানি উদ্যোগ গ্রহণ করি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন