২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৩৫

দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু ৭০ শতাংশ মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু ৭০ শতাংশ মানুষের

সংগৃহীত ছবি

অসংক্রামক রোগের কারণে দেশে অপরিণত মৃত্যু বাড়ছে। দেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে (এনসিডি) ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ মারা যায়। এ মৃত্যু এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বড় বাধা। এনসিডির কারণে অসময়ে মৃত্যু কমাতে রোগ শনাক্তের আগেই প্রিভেনশনের ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী প্রথম জাতীয় এনসিডি সম্মেলনের প্রথম দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘এনসিডির কারণে বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তামাকের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে এনসিডি বাড়ছে। এনসিডি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ডব্লিউএইচও।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এনসিডি বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। বাংলাদেশের ২০% মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, ১০% ডায়াবেটিস ও ২০লাখ মানুষ ক্যান্সারে ভোগে। সরকার এনসিডি প্রতিরোধে সেক্টর ভিত্তিক প্রোগ্রাম নিয়েছে। দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। দেশের সব জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ও আইসিইড বেড স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা হজাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালে এনসিডি কর্নার করা হয়েছে।’

কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে এমন তিনজনের একজন কিডনি রোগে ভুগছেন কিন্তু তা তারা জানেন না। দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অর্ধেকের বেশী জানেন না উচ্চ রক্তচাপ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১০০ জনের মধ্যে ৭৭ জন ওষুধ খাচ্ছে কিন্তু তাদের উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। একই অবস্থা ডায়াবেটিকসের ক্ষেত্রেও।’

অর্গানাইজিং কমিটির সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি ডা. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘মানুষ ফার্মেসিতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে ওষুধ খাওয়া শুরু করে কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যায় না। এ কারণে দেশে এনসিডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতিবছর একবার করে অন্তত স্কিনিং করতে হবে।’ ফাস্ট ফুড, লবণ ও চিনি বেশি না খাওয়া ও তেল চর্বি জাতীয় খাবার ও তামাক পণ্য পরিহার করার পরামর্শ দেন তিনি। 

অর্গানাইজিং কমিটির মেম্বর সেক্রেটারি ডা. শামীম হায়দার তালুকদার বলেন, যারা এনসিডিতে ভুগছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রতিরোধের উপর জোর দিতে হবে। এ প্রতিরোধের জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে অসংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত যেসকল সভা-সেমিনার হয় সেগুলোতে অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর