২৫ মে, ২০২২ ০৬:৫৫

মাঙ্কিপক্স হলে ৪ দিনের মধ্যে টিকা নিতে হবে: বিএসএমএমইউ

অনলাইন ডেস্ক

মাঙ্কিপক্স হলে ৪ দিনের মধ্যে টিকা নিতে হবে: বিএসএমএমইউ

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের দুই সপ্তাহ এমনকি সম্ভব হলে চার দিনের মধ্যেই গুটিবসন্তের টিকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত ১ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ইনকিউবেশন পিরিয়ড গড়ে ১২ দিন, ক্ষেত্রবিশেষে তা ৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এজন্য ২ সপ্তাহের মধ্যে, সম্ভব হলে ৪ দিনের মধ্যে এটিকা ব্যবহার করতে হবে। গুটিবসন্তের টিকা মাংকিপক্স থেকে শতকরা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও জানান, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, এফডিএ গুটিবসন্ত বা মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার জন্য একটি লাইভ, নন-রিপ্লিকেটিং স্মলপক্স এবং মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। সিডোফোভির- মাঙ্কিপক্সের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ স্মলপক্স ভ্যাকসিন, মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিন উভয়ই লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাক্সিনিয়া স্ট্রেন থেকে উদ্ভূত।

তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিনিয়া এবং ভ্যারিওলা (স্ম্যালপক্স) এই গ্রুপের ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। ১৯৫৮ সালে ল্যাবরেটরিতে প্রথম বানরের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম দেখা দিয়েছিল বলে ১৯৭০ সালে এর নামকরণ হয় মাঙ্কিপক্স।

বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের দেহে স্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ব্রঙ্কোপনিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কেরাটাইটিস, কর্নিয়ার আলসারেশন, অন্ধত্ব, সেপ্টিসেমিয়া এবং এনসেফালাইটিস দেখা দিতে পারে।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি জ্বরের পরে ২-৩ দিনের মধ্যে ঘাড়ের চারদিকে দেখা যায়। ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি তৈরি হয়। ফুসকুড়ি প্রায়ই মুখে শুরু হয় এবং তারপর শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ২ থেকে ৪ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে। এগুলো মুখমণ্ডল, শরীর, হাত-পা এবং মাথার ত্বকে হতে পারে। হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় ক্ষত দেখা যেতে পারে, এগুলো ব্যথাহীন হয়। যদি ব্যথা থাকে তাহলে এটি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হতে পারে। চুলকানি থাকতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার প্রমুখ।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর