২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:০৩

রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাজপথেই হবে : আমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাজপথেই হবে : আমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাজপথেই হবে। অতীতেও রাজনৈতিক ইস্যুর ফয়সালা রাজপথেই হয়েছে। এবারও ফয়সালা রাজপথেই হবে। বিএনপির চলমান আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে। 

আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ওয়ার্ড মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শাহিনুর নার্গিসের পরিচালনায় এতে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ মহানগর দক্ষিণ ও কামরাঙ্গীরচর শাখার নেতারা বক্তব্য রাখেন।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে অতীতের ন্যায় তারা ফের রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বিএনপি কোনো ফাঁদে পা দেবে না। অন্য বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোর মতোই ঢাকার সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে। বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। 

সম্মেলনে সেতারা বেগমকে আহ্বায়ক ও রহিমা আক্তার রিনাকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ফরিদা পারভিন হিরাকে আহ্বায়ক ও সানজিদা খাতুনকে সদস্য সচিব করে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড, রাশিদা বেগমকে আহ্বায়ক ও শিল্পী বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড, আসমা বেগমকে আহ্বায়ক ও রুবিনা বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিনটি ওয়ার্ড কমিটিই ১১ সদস্য বিশিষ্ট। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, সরকার ও সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট হবে না। মুখে এ কথা বললেও তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এই সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।  

তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। অন্যথায় এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলন সফলে রক্ত দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দেবো, তবু শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, তারা ২০১৪ সালে ১৫৪ আসন আগেই নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছে। এরপর ২০১৮ সালে পুলিশকে দিয়ে আগের রাতে ভোট করেছে। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ফের প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হবে না। জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। 

আমান বলেন, সরকার মনে করছে এভাবে গুলি চালিয়ে, অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে। সেজন্য তারা নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন দমানো যাবে না। কারণ, জনগণ জেগে উঠেছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর