পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ঘরে ফেরা মানুষের প্রথম দিনের ঘরমুখী যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। এদিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত দূরপাল্লার মহাসড়কগুলোতে যানজট হয়নি। ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালসহ কমলাপুর রেলস্টেশন, বিভিন্ন মহাসড়ক এবং পাটুরিয়া, আরিচা ও শিমুলিয়া ফেরিঘাটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
লঞ্চ ও বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ও স্টেশনে হয়রানির অভিযোগও করেননি ঈদযাত্রীরা।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এসব কথা বলেন। এছাড়া স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ ঈদযাত্রায় পুলিশ, বিআরটিএ ও বাংলাদেশ রেলওয়েসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপগুলো এখনো পর্যন্ত সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কমিটির নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ঈদের ছুটিতে সকল মহাসড়ক উন্মুক্ত করে দেয়ায় প্রথমদিন দূরপাল্লাগামী বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল শিমুলিয়া, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টাঙ্গাইল অংশে দুই চাকার এ বাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এতে সেতুর টোল আদায়ে বিলম্ব ঘটে। বিবৃতিতে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়াতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় কমিটি জানায়, মানুষ মূলত ঈদপূর্ব শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার বিকাল থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তবে সরকারি ছুটির প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে ঘরমুখি জনস্রোত বেড়েছে। এদিন সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রীভর্তি অর্ধশতাধিক লঞ্চ উপকূলীয় জেলাগুলোর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে সোমবার। তৃতীয় দিন বুধবার দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর ছেড়ে গেছে ২৬টি ট্রেন। এর মধ্যে নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বাকিগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে গেছে। এছাড়া এদিন কমলাপুর, বিমানবন্দর ও গাজীপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে কাউকে উঠতে দেয়া হয়নি।
প্রথমদিন সড়কপথ স্বাভাবিক ছিল উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে জনসমাগম তুলনামূলক কম থাকলেও সায়েদাবাদ, মহাখালী, গুলিস্তান ও টিটি পাড়া (কমলাপুর) থেকে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লাগামী শত শত বাস ছেড়ে গেছে। তবে এ সব বাস ফেরিঘাট কিংবা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়েনি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেননি যাত্রীরা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত