দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন হাওলাদারের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ (প্রতিবেদনে) বলা হয়েছে-‘প্রায় সাত লাখ টাকার ধার পরিশোধ না করায় পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে নিহার রঞ্জন হাওলাদার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসপি ছিলেন তিনি। শাস্তির অংশ হিসেবে তার এ পদ কেড়ে নিয়ে তাকে অতিরিক্ত এসপি করা হয়েছে।’
কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে-ধার পরিশোধ না করায় তার পদ অবনমন করা হয়নি বা পদ কেড়ে নেওয়া হয়নি। চাকরি জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধে নিহার রঞ্জন হাওলাদারের নামে তিনটি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং সেসব মামলায় তিনি অভিযুক্ত হন। যার একটি হচ্ছে ধার পরিশোধ না করা- যেটিতে যথাযথ বিধি প্রতিপালনপূর্বক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার ৩(খ) বিধি অনুসারে অসদাচরণের অভিযোগে একই বিধিমালার ৪(২)-এর উপবিধি (১) (ক) অনুসারে তাকে তিরস্কার দণ্ড প্রদান করা হয়। গত ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ২৪০ নং স্মারকমূলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তিরস্কার দণ্ড প্রদান করা হয়।
আরেকটি বিভাগীয় মামলায় নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে গত ২২ জুন ২০২৩ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ০৩ (তিন) বৎসরের জন্য ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়। তাছাড়া অপর একটি (তৃতীয়) বিভাগীয় মামলায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০২৪ সালের ০৮ ডিসেম্বর তারিখের ২১৭ নং স্মারকমূলে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২) এর উপ-বিধি (১) (ঘ) অনুযায়ী তাকে '০১ (এক) বৎসরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’-এর দণ্ড প্রদান এবং ভবিষ্যতে এই বেতন সমন্বয় করা হবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।’