সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সরকারি আবাসিকে ১৭৩০ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান

সরিয়ে নিতে কঠোর নির্দেশনা আসছে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সরকার আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম মহানগরীর সরকারি তিন সংস্থার মালিকানাধীন ২৭ আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে এক হাজার ৭৩০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন এসব প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক লাইসেন্সও দিয়েছে। এখানে মানাই হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা।  

সরকারি সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আছে ৬টি আবাসিক এলাকা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ৭টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি। 

তবে তালিকা মতে, চসিক এসব প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে  আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান এবং বিউটি পারলারের মতো অপ্রয়োজনীয়   প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছে। তবে অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবাসিক এলাকায় এক হাজার ৭৩০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩৯টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউসের লাইসেন্স চলতি বছরে নবায়ন করা হয়নি। তবে মুদিদোকান, কসমেটিকস, ফার্মেসি, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদারি ও পণ্যের পরিবেশক জাতীয় প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। তা ছাড়া এক হাজার ৭৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসিক এলাকা ছেড়ে দিতে নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ২১টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ৬৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নিতে নোটিস দেওয়ার কাজ চলছে। চসিকের প্রদত্ত লাইসেন্স এক লাখ ৩ হাজার ৮১২টি। এসব লাইসেন্স থেকে বার্ষিক রাজস্ব দাবি ৫১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯২ টাকা। গত ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আদায় হয় ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

চসিক মালিকানাধীন আবাসিক এলাকার মধ্যে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, দক্ষিণ খুলশী ভিআইপি আবাসিক, জয়পাহাড় হাউজিং সোসাইটি, উত্তর খুলশী কোবে সিটি হাউজিং প্রকল্প, বাকলিয়া ছৈয়দ শাহ রোড হাউজিং প্রকল্প ও বগারবিল শান্তিনগর আবাসিক এলাকা। আর চউকের আবাসিক এলাকার মধ্যে রয়েছে হিলভিউ আবাসিক, চান্দগাঁও আবাসিক, চন্দ্রিমা আবাসিক, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক, কল্পলোক আবাসিক ও মেহেদীবাগ আবাসিক এলাকা। গণপূর্তের আবাসিক এলাকাগুলো হলো- নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, খুলশী আবাসিক, কাতালগঞ্জ আবাসিক, পাঁচলাইশ আবাসিক, রহমতগঞ্জ আবাসিক, হালিশহর হাউজিং এস্টেট এ ব্লক, বি ব্লক, জি ব্লক, এইচ ব্লক, আই ব্লক (আংশিক), কে ব্লক, এল ব্লক, ফিরোজ শাহ আবাসিক ও কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেট।

 

সর্বশেষ খবর